• সারাদেশ

    কালীগঞ্জে মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত

      প্রতিনিধি ৪ মার্চ ২০২৩ , ৮:০৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মোঃ মুক্তাদির হোসেন কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন জাঙ্গালীয়া ফাযিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদ্রাসা মাঠে ঝমকালো অয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (৩ মার্চ) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে মাদ্রাসা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠিতহয়।

    জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাদ্রাসা পরিচালণা পরিষদের সভাপতি গাজী সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জজকোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শাহ্ মোহতাশেম আজমল সোহেল। গাজীপুর জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম ফজলুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব নেওয়াজ যৌথ ভাবে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করেন। পরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষনা করেন ভিক্টোরি এগ্রোফার্মের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডিআর কলেজের অধ্যাপক সোলেমান হোসেন ভূইয়া, জাঙ্গালীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হযরত আলী মাস্টার, জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল শেখ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র পাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. মবিন খান উজ্জল, এডভোকেট মো. খাইরুল বাশার রাসেল, চান্দিনা সেন্ট্রাল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম, আওড়াখালী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. মাহবুব আলম শাহীন, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন খোকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলতাফ হোসেন, ইসলামী ব্যাংক ঢাকার প্রধান কর্মকর্তা মোনাজিম উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন খান।

    প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ক্রীড়ায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিবাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এর জন্য চেয়ার খালি রেখে বরিশালে গণসমাবেশ শুরু

    পাবিপ্রবিতে ২ দিনব্যাপী অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত

    নেপালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: জীবিত উদ্ধার হলো না কেউ

    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার রাধানগরে গ্রাম-প্রধান কাদেরের বিরুদ্ধে হোটেলের নারী কর্মীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ

    প্রাচীন কালে গড়ে উঠা অভয়নগরের ১১ শিব মন্দির

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে