প্রতিনিধি ১৪ মার্চ ২০২৩ , ৩:৪৯:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
সোহরাওয়ার্দী খান, কুমিল্লা
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যেন কেউ কারসাজি করতে না পারে সেজন্য বাজারে সতর্ক নজরদারি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম। গতকাল রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, কুমিল্লার প্রায় তিন লাখ মানুষ ইতোমধ্যে টিসিবি থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারছে। তাই রমজানের আগে বাজারে সঙ্কট কিংবা মূল্য বৃদ্ধিও কোন কারণ নাই। কেউ হুড়োহুড়ি করে বাজার করতে গিয়ে কিংবা গুজব সৃষ্টি করে যেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাজার মনিটরিং কমিটি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকার দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে সব সময় সচেষ্ট আছে।
গতকাল সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাজারের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ আছাদুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সভাপতি। এসময় মোঃ আছাদুল ইসলাম জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজারে নজরদারি ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যহত রেখেছে। উপজেলা পর্যায়ে যেন বাজারের প্রতি স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ নজরদারি করে সে ব্যাপারে অনুরোধ করেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারেফ হোসেন গত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ কামরান হোসেন, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম সেকান্দার, নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান, মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লা মিয়া রতন সিকদার, হোমনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, হোমনা পৌরসভার মেয়র এডভোকেট নজরুল ইসলাম, চান্দিনা চান্দিনা পৌরসভার মেয়র শওকত হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি, ভূয়া চিকিৎসক, ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষদ বিক্রি বন্ধে অভিযান, যানজট নিরসন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সকল মাদ্রাসায় জাতীয় পাতাকা উত্তোলন, অবৈধভাবে মাটিকাটা বন্ধ, মহান স্বাধীনতা দিবস পালন সহ জেলার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়