প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২৩ , ৭:৫০:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ওয়াসিম হোসেন রাহাদ: কবির লেখনি শুধু নয় আবৃত্তিকারের সু-মধুর আবেগ ও মায়াবী কন্ঠেও কবিতার সৌন্দর্যতা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। কবির দারুণ ছন্দ গুলো মনে লালন করে আবৃত্তিকার “ফাতেমা সুলতানা সুমি” তার মায়া ভরা চমৎকার কন্ঠে কবিতা প্রেমীদের একের পর এক কবিতা উপহার দিচ্ছেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যনুরাগী ছিলেন। শিশু একাডেমিতে তার শিক্ষক আলকুনিয়্যাত সবুর এর কাছে ১২ বছর সাহিত্যচর্চা করেছেন। এবং বিভিন্ন পত্রিকার ছোটদের পাতায় ৬ বছর বয়স থেকেই তার লেখালেখি চলমান রয়েছে। স্কুল অব পারফর্মিং আর্টস এ তার আবৃত্তিকার শিক্ষক ছিলেন জয়ন্ত চট্যোপাধ্যায়, ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, ফাল্গুনী হামিদ, কামরুল হাসান মঞ্জু প্রমূখ।
ফাতেমা সুলতানা সুমি ২০১৬ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আবৃত্তিকার হিসেবে প্রথম ফেসবুক লাইভে এসে কবিতা আবৃত্তি করেন। ১৯৯৩ ও ১৯৯৫ শিক্ষাসপ্তাহে শিশু শিল্পী হিসেবে আবৃত্তিতে দুইবার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন এই গুনী আবৃত্তিশিল্পী। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য বিটিভিতে ইনলিস্টেড। ২০১৭ সালে নবসাহিত্য প্রকাশনী থেকে তার লেখা “লাল গোলাপ” নামক একটি একক বইও প্রকাশ পেয়েছে। এবং ৭ টি যৌথবইও প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো হলো: নীলাঞ্জনা, অল্পকথা, আহত রক্তজবা, অমর কাব্য গাঁথা, পিদিম, ধোঁয়াচ্ছন্ন অন্ধকার ও দ্বীপজ।
এ পর্যন্ত তিনি তার কন্ঠে ২৫ শত এর বেশি গুনী, তরুণ ও উদীয়মান কবির লেখা অনেক পছন্দনীয় কবিতা আবৃত্তি করেছেন। এবং দুই বাংলায় মহিলাদের মধ্যে তার কন্ঠে আবৃত্তি করা কবিতাই সর্বোচ্চ রয়েছে। তার আবৃত্তি করা কবিতা গুলো ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিয়মিত প্রচারিত হয়ে থাকে। তার কন্ঠে এমন সুন্দর সুন্দর কবিতা আবৃত্তিতে তিনি কবিতা প্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
তিনি লেখাপড়ার দিক থেকেও সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জন করেছেন এসএসসি, এইচএসসি, বিএসসি অনার্স ও মাস্টার্স এ প্রথম শ্রেণি থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি সাহিত্যের আঙিনার সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ লেখক পরিষদ, কথাকুঞ্জ সাহিত্য পরিষদ, বাংলাদেশ কালচার পরিষদ, অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ, গাংচিল সাহিত্য সাংস্কৃতি পরিষদের আবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং সজীবমেলা আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আবৃত্তি শিক্ষিকা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।