প্রতিনিধি ২১ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৫৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ আমিনুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকার ধামরাইয়ের আসাদ এগ্রো ফার্ম নামক একটি খামারে সকালে খাবার দেয়ার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ১১টি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আশংকাজনক রয়েছে আরো ৫ টি গরু। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া কাজীপাড়া এলাকার আসাদ এগ্রো ফার্ম নামক একটি খামারে এ ঘটনা ঘটে। ১১ টি গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খামারের মালিক আসাদ খান।
খামারের মালিক আসাদ খান বলেন,সকালে খাবার দেয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলির মৃত্যু হয়। আমরা গত দুইবছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমানমতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত দেখা গেছে। এব্যাপারে আইনি কোন পদক্ষেপ নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোন শত্রু নেই আমি চাইনা আমার প্রতিবেশীরা হয়রানির শিকার হোক। তবে কি কারণে গরু গুলি মারা গেলো এজন্য প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) পরীক্ষা করতে দেবো।
খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৭ টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দেই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিলো। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। ঘন্টাখানেক পরে মামী আমাকে জানায় গরু গুলি ঠাস ঠাস কইরা পইরা মারা যাইতেছে।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, আমি কেবলই জানতে পারলাম, আমি এবং ভেটারেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কো-অর্ডিনেশন মিটিং এ আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপ-সহকারী যাচ্ছে ওখানে কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করতেছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে, বর্ষাকালীন সময়ে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এর কারণে একসাথে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।