প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১০:১৫:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
কে.এম নাহিদুজ্জামান পরাগ (স্টাফ রিপোর্টার):
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বহুতল ভবনের নিচতলায় “সেইভ ব্লাড ব্যাংকের” ব্যানার টানানো থাকে। ঢুকতেই দেখা যায় ছোট্ট একটা রুমে চলছে ব্লাড ব্যাংক। সাধারণত রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপের রক্তের ব্যাগ। সেখানে নেই রক্ত সংগ্রহ করার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোন ব্যবস্থা। কোন একটা নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্ত চাইলে দেখা যায় ব্যাগের গায়ে রক্তের মেয়াদের তারিখ সিল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই ব্লাড ব্যাংকের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ব্লাড ব্যাংকের অনুমোদন আছে তবে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।আরো জানা গেছে যে,অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংকের নেই অনুমোদন, যার সাথে জড়িত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ নামের কোন ব্লাড ব্যাংক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কখনো অনুমোদনের আবেদনই করেনি, লাইসেন্স নবায়ন তো দূরের কথা, শুধু এই ব্লাড ব্যাংক নয় সিন্ডিকেটের জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানী জুড়ে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫ শতাধিক ব্লাড ব্যাংক। এসব ব্লাড ব্যাংকের রক্তগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ পরপর মেয়াদের তারিখ মুছে দিয়ে, বিক্রি করে মুমূর্ষু রোগীদের স্বজনদের কাছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে শাস্তি খেতে আর কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ না পায়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ বিষয়ে সকলকে সচেতনতা সৃষ্টি করে মানুষ অন্যয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াতে কাজ করতে হবে।