• সারাদেশ

    পাবনা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা ২০২২ অনুষ্ঠিত হল।

      প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২২ , ৭:৫৩:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ রফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার।

    আজ ১৯ জুলাই,২০২২ পাবনা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএম,পুলিশ সুপার পাবনা।

    উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), জনাব মোঃ রোকনুজ্জমান সরকার , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), জনাব শেখ জিন্নাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) , জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বেড়া সার্কেল, জনাব আরজুমা আকতার, সহকারী পুলিশ সুপার, এসএএফ, জনাব সজীব শাহরীন সহকারী পুলিশ সুপার চাটমোহর সার্কেল, জনাব রবিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার, সূজানগর সার্কেল, পাবনা জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ গন, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, পাবনা, ডিআইও-২ জেলা বিশেষ শাখা, পাবনা , কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, টিআই পাবনা সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।

    সভায় জুন মাসে সকল থানার ওয়ারেন্ট তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মামলা নিস্পত্তি সংক্রান্তে নির্দেশনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার পাবনা। এছাড়া উপস্থিত সকলকে জনগনের পাশে দাড়িয়ে তাদেরকে ন্যায়বিচার প্রদানে আরো সক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য আহবান জানান তিনি। সভার শুরুতে গত মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি স্বরুপ ১৪ জন পুলিশ সদস্যকে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন পুলিশ সুপার পাবনা।

    জুন/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ মাসের পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকাঃ

    শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার, সুজানগর সার্কেল, পাবনা।

    শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ, অরবিন্দ সরকার, অফিসার ইনচার্জ, ঈশ্বরদী থানা, পাবনা।

    ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করতঃ ০৬ জন ডাকাত গ্রেফতার ও ০২টি গরু উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন । ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক উদ্ধার ও অস্ত্র উদ্ধার করতঃ আইন শৃংখলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (প্রশাসন ও অর্থ), পাবনা।

    পাবনা জেলা পুলিশের বিভিন্ন ভবন মেরামত কাজের তদারকিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), পাবনা।

    পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত সকল প্রোগ্রামের তদারকি সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং আইনশৃঙ্খলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন আরজুম আকতার, সহকারী পুলিশ সুপার, (এসএএফ), পাবনা।

    শ্রেষ্ঠ এসআই(নি.), মোঃ নুরুন নবী, এসআই(নি.), ঈশ্বরদী থানা, পাবনা।

    শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, টিআই, সদর ট্রাফিক, কাশিনাথপুর পাবনা।

    শ্রেষ্ঠ এএসআই(নি.), মোঃ জাহিরুল ইসলাম, এএসআই (নি.), পাবনা থানা, পাবনা।

    শ্রেষ্ঠ ডিএসবি অফিসার, মোঃ মোজাফার হোসেন, এএসআই(নি.), ডিএসবি, পাবনা।

    জেলা পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এএসআই (সঃ)/৫৪, পুলিশ লাইন্স, পাবনা।

    ডি স্টোরের সরকারি মালামাল সুষম বন্টন, রক্ষণাবেক্ষণ করতঃ দাপ্তরিক কার্যক্রম ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ মনিরুল ইসলাম, কনস্টেবল/১৫৭৮, পুলিশ লাইন্স, পাবনা।

    পাবনা জেলা পুলিশের সকল সদস্য এবং সিভিল স্টাফদের ডিজিটাল হাজিরা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনলাইন জিডি অটোমেশন (সিডিএমএস++) এ রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন মোঃ আতিকুল ইসলাম, কনস্টেবল/১৬৪৯, পুলিশ অফিস, পাবনা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের কাশিনাথপুর সাংগঠনিক অফিসের উদ্ভোধন ও সংবর্ধনা

    পার্বত্য চট্রগ্রাম নাগরিক পরিষদ গুইমারা উপজেলা শাখার পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

    ভোলায় ৪৬ পুলিশের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রদল সভাপতির স্ত্রীর মামলা

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    ভোলায় মোবিলাইজেশন কন্টিনজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

    এসএসসিতে কলেজিয়েট স্কুলের ঈর্শণীয় সাফল্যে বৃহত্তর কাশিনাথপুরে সর্বাধিক সরকারি বৃত্তিপ্রাপ্ত