প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২৩ , ১১:৫৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আহসান ভোলা প্রতিনিধি:
কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে, কখনো মৎস্য কর্মকর্তার পরিচয় আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির শীর্ষে চলে গেছে আজাদ হোসেন ও ইব্রাহিম ওরফে রাসেল নামের দুই প্রতারক, তাদের কে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া মুন্সির হাট এলাকার স্থানীয় জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে চরপাতা ও মেদুয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী মুন্সির হাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বলে জানায় ভুক্তভোগী রা
আটককৃত আজাদ হোসেনের বাড়ি ভোলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এবং ইব্রাহিম ওরফে রাসেলের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে।
দৌলতখান উপজেলা মৎস অফিস সুত্রে জানাজায়, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে মৎস্য অফিসের লোক পরিচয়ে মেঘনা নদীতে নৌকা নিয়ে অভিযান চালিয়ে নদী থেকে একটি নৌকা আটক করে। পরে জেলেদের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে জেলেদের কাছ থেকে, জেলেরা চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মাছের বস্তা নিয়ে চলে যাবার সময় আজাদ ও ইব্রাহিম ওরফে রাসেল নামের দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে মেদুয়া মুন্সির হাট এলাকার জনতা।
জনতার হাতে আটকের পর আজাদ নিজেকে মোহনা টিভির ভোলা প্রতিনিধি জসিম রানার ভাগ্নে পরিচয় দেন এবং মোহনা টিভির এসিস্ট্যান্ট রিপোর্টার, অনলাইনে জেটিভি ও দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার সাংবাদিক এবং তার সাথে থাকা অপর ব্যক্তি রাসেল নিজেকে সমাজসেবক ও আমার পত্রিকা নামের একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে স্থানীয় জনতার সামনে দাবী করলেও কোনো পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি
এ ব্যাপারে মোহনা টিভির ভোলা জেলা প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলে বলে এই নামে তিনি কাউকেই চিনেন না। তাৎক্ষণিক মোহনা টিভির প্রতিনিধি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেন “সতর্কীকরণঃ ভোলা জেলায় মোহনা টিভিতে আমি ছাড়া অন্য কোন প্রতিনিধি নাই এবং আবু মাহাজ ছাড়া আমার অন্য কোন ক্যামেরা পার্সন নাই।”
ভোলার একাদিক সিনিয়র সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই আজাদ হোসেন ও ইব্রাহিম ওরফে রাসেল কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে, কখনো মৎস্য কর্মকর্তার পরিচয় আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে যেতেন। এই দুর্বৃত্তদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকদের বদনাম হচ্ছে, তারা আরো বলেন এই দুজন পত্রিকা ও টিভির ভুয়া কার্ড বানিয়ে সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে হরহামেশেই চাঁদাবাজি করে যেতেন নিয়মিত।
স্থানীয় জেলেরা জানান, প্রায়ই এই এলাকায় এসে তারা এধরনের কর্মকান্ড করতো। অভিযান কালে ছোট ছোট নৌকা আটক করে জেলেদের বোকা বানিয়ে ইতোমধ্যে তারা কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী জানান, অভিযুক্তরা নিজেদের মৎস্য অফিসার ও পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভোলার ব্যাংকের হাট এবং ইলিশা সড়কে মাছ পরিবহনকারী গাড়ি আটক করে বহু বেপারিকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতখান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুল হাসনাঈন বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি এবং পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে চাদাবাজি মামলাসহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।