• আরো

    অযত্ন-অবহেলায় নতুন ভারেঙ্গার জমিদার বাড়ি

      প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৩ , ৩:১৪:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    বুলবুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার : ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নতুন ভারেঙ্গার জমিদার বাড়ী। অযন্ত,অবহেলায় পরে থাকা এই বাড়িটি ধংসের দিকে পৌছে গেছে। বেড়া উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে অনেক টা নিরিবিলি গ্রাম্য পরিবেশে জমিদার বাড়ি টি অবস্থিত। ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ পাবনা জেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নে রয়েছে এই দর্শনীয় স্থান । বিষন্ন মৌনতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জমিদার বাড়িটি। ঘুরতে এসে দর্শনার্থীরা জমিদার বাড়িটির নাজেহাল অবস্থা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন।

     

    জানা যায় বাবু সন্তোষ কুমার রায় ছিলেন নতুন ভারেঙ্গার গ্রামের জমিদার। তাহার পিতা নাম বিজয় কুমার। পিতামহের নাম বসন্ত কুমার রায় চৌধুরি। তিনি সাফুল্লাহ আবুডাংগা সিংহাসন মৌজার জমিদার। বাবু সন্তোষ কুমার রায় ১৯৩৬ সালে বাগমারা (বক্রারপুর ) প্রথমে তাদের বাড়ি নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা করেন । পরর্বতীতে ১৯৩৮ সালে সাফুল্লাহ মৌজার সোনাপদ্মা গ্রামে ১০ একর জায়গার উপর অনন্য নির্মাণশৈলী এবং কারুকার্য সম্পন্ন দৃষ্টি নন্দন জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন । তার বাড়ির পাশেই রয়েছে কাচারি ঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, জুনিয়র হাই স্কুল, সুবিশাল খেলার মাঠ ও পুকুর। এই বাড়িতে বসেই জমিদার এই অঞ্চলের জমির পত্তনী দিতেন প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করতেন । জমিদার বাড়ির সবাই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী দেশে যুদ্ধ শুরু হলে এই দেশ ছেড়ে চলে যায়। সেই সময়ে তার ছেলে সমির কুমার রায় চৌধুরি কে সেবায়েত নিযুক্ত করেন। সমির কুমার রায় চৌধুরি বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী।

     

    বাড়িটি বর্তমানে দেখভাল কারী অষিত কুমার ঘোষ জানান বঙ্গ বিহারি রায় চৌধুরি প্রথম জমিদার তার সাকুল্যে সম্পদ দেবতর এর নামে লিখে দেন। শ্রী শ্রী গোপাল চিধর মহাদেব বিগ্রহ স্টেটের নামে। এ এস্টেট সেবায়ত ছিলেন বঙ্গ বিহারি রায় চৌধুরির । এর পর তার পুএ সুরেন্দ্র মোহন রায় চৌধুরী পরবর্তী জমিদার ছিলেন। এরপর সুরিন্দ্র মোহন রায় চৌধুরীর ছেলে বউ বিন্দু বাসনী রায় চৌধুরি কে জমিদার (সেবায়েত) নিজুক্ত করেন। বিন্দু বাসনী বায় চৌধুরি তার ছেলে কে সন্তোষ কুমার রায় চৌধুরি জমিদার (সেবায়েত) নিজুক্ত করেন। সন্তোষ কুমার রায় চৌধুরি তার ছেলে সমির কুমার রায় চৌধুরি কে সেবায়েত নিজুক্ত করেন। সমির কুমার রায় চৌধুরির অবর্তমানে তার দেওয়া দায়িত্বে তিনি দেখাশুনা করেন যেটা বর্তমানে দেবতর সম্পতি পাবনা কালেক্টর সাতাত্তর বাই চৌদ্দ চৌহদ্দি নথি ভুক্ত।

     

    স্থানীয় এলাকা বাসি দেলোয়ার বলেন সরকারি ভাবে জমিদার বাড়ি টি সংরক্ষণ করা হলে আমাদের ভবিষ্য প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

     

    স্থানীয় এলাকা বাসি রুবেল বলেন নতুন ভারেঙ্গার ঐতিহ্য এই জমিদার বাড়ি। আমাদের পুর্বপুরুষদের কাছ থেকে এই জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে শুনে আসছি।

     

    জমিদার বাড়ির পারিবারিক দর্জি গোলাম রহমান সেখ জানান জমিদার বাড়ির সকলের জামা কাপড় তিনি তৈরী করতেন। জমিদার খুশি হয়ে তাকে একটি খাট উপহার দেন সেটি এখনো আছে। জমিদার ছিলেন অত্যন্ত নম্র, শিক্ষানুরাগী, ভালো মনের মানুষ।

     

    এ বিষয়ে এলাকার সুশীল সমাজের মানুষের ও প্রবীণ ব্যক্তিদের দাবি জমিদার বাড়ি টি সরকারি ভাবে সংরক্ষণের করে একটি বিনোদন কেন্দ্র করার। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ