প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২৩ , ২:২৪:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল জব্বার বেড়া-সাথিঁয়া পাবনা:
আলু-ডিম-পেঁয়াজে আগুন, সবজি কিনতেই নাকাল ক্রেতা সবজি কিনতে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কোন সবজি কিনবেন তা নিয়ে কপালে যেন দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে! কারণ, কাঁচকলা ও পেঁপে বাদে আর সব সবজির দামই এখন নাগলের বাইরে। এর মধ্যে কয়েকটি সবজির কেজি ১০০ টাকা পেরিয়ে গেছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। মাছ-মাংস নয়, সবজি কেনাই এখন তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সরকার দর বেঁধে দিয়েও ডিম, আলু ও পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে তিনটি পণ্যই অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভোক্তাদের প্রশ্ন? তাহলে দর বেঁধে দিয়ে কী লাভ হলো? ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত কয়েক বছরে সবজির দাম এতটা বাড়েনি। মূলত, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় আগাম সবজিখেত নষ্ট হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।৷ পাবনার বাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এখন শীতকালীন সবজি পুরোদমে বাজারে আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
গতকাল শনিবার পাবনার সাথিঁয়া উপজেলার কাশিনাথপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। সবজি কিনতে ক্রেতাদের এক দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুরে দরদাম করতে দেখা গেছে। গতকাল বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১৪০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, নতুন শিম ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, মুলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল ও ঢ্যাঁরশ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুমুখী ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করল্লা ৯০ থেকে ১১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া কম দামের সবজির মধ্যে পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। একটি লাউ আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও ছোট আকারের একটি ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
সবজির এই চড়া দামে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। আজ কাশিনাথপুর বাজার করতে আসা কবিরুল ইসলাম বলেন, সবজির এত বেশি দাম এর আগে কবে ছিল জানি না। তিনি বলেন, সবজি কিনইে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবু বকর বলেন, দেশের অনেক জায়গায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে শীতকালীন আগাম সবজিখেত নষ্ট হয়ে গেছে। যা প্রভাব পড়েছে বাজারে। তিনি বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু হলেই দাম কমে যাবে।
দর বেঁধে দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি ডিম, আলু ও পেঁয়াজের বাজার।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছে উৎপাদন কম হওয়ায় বেড়েছে সববজির দাম। অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় সবজি নষ্ট হওয়ায় এমন হচ্ছে বলছে তারা।