প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২২ , ৭:১১:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
বরিশালের বরগুনায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু’র সঙ্গে উদ্ধত আচরণের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এই ঘটনায় জড়িত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ আগস্ট২০২২) দুপুরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন (১৫ আগস্ট২০২২) সোমবার রাত ১০টার দিকে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জিয়াউল হককে প্রধান করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান ও সুদীপ্ত সরকার পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাকেরগঞ্জ সার্কেল।
এছাড়া বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ঘটনার পর গত বুধবার (১৭ আগস্ট২০২২) তিনি নিজেও (ডিআইজি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি আক্তারুজ্জামান জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী, একজন ইন্সপেক্টর, ৩ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), সাতজন কনস্টেবলসহ মোট ১৩ পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া আরও ৫ পুলিশ সদস্যকে সতর্ক করার জন্য বরগুনা জেলা পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। মহরম আলী ছাড়া বাকি পুলিশ সদস্যদের নাম গণমাধ্যমকে জানাতে চাননি হননি ডিআইজি আক্তারুজ্জামান।
ঘটনা গত ১৫ আগস্ট দুপুরে বরগুনার শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের সময় পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ২০০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হন।
ঘটনাস্থলে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটার কারণ জানতে চজাইলে এমপি শমভুর সঙ্গে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মরহর আলী বাকবিতণ্ডা করেন এবং তার সামনেই জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার ভাই জসীম মোল্লাকে পিটিয়ে আটক করে নিয়ে যান।
ঘটনার দিন রাত ১০টা দিকে এমপি শমভু বরগুনা প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পরেরদিন ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। এতে মহরমের চাকরিচ্যুতি ও বিচার দাবি করে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। পরে ১৭ আগস্ট বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান পরিদর্শনের জন্য বরগুনায় আসেন এবং ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচারের আশ্বাস দেন।