• সারাদেশ

    ভোলায় স্বামীর টাকা ও গহনা নিয়ে প্রেমিকের সাথে উধাও স্ত্রী

      প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৮:০৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার:

    দিন মজুর স্বামীর টাকা ও গহনা নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছেন মুক্তা (২৭) নামে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের আজিজ সর্দার বাড়ি এলাকায়। প্রেমিকের নাম মোঃ শরিফ (২৫)। তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলার একই ইউনিয়নের মোঃ মনজুর রহমানের ছেলে মুক্তার স্বামীর নাম মো. মানিক। তিনি ঢাকায় একটি মাছের আড়তে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেন।

     

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তা কাউকে কিছু না বলেই তার ব্যবহৃত জিনিস পত্র,নগদ ৬০ হাজার টাকা,১ ভরি স্বর্ণ যার মূল্য ৮৫ হাজার টাকাসহ বাসা থেকে পালিয়ে যান।

     

    এ ঘটনায় গত শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর মানিকের বাবা মোঃ আনোয়ার হোসেন ( মুক্তার শশুর) বাদী হয়ে মুক্তা বেগম,তার বাবা মোঃ নুরনবী ও মা নিরু বেগমকে অভিযুক্ত করে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

     

    অভিযোগে জানা গেছে, বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ মানিক একই উপজেলার মানিকা ইউনিয়নের মোঃ নুরনবীর মেয়ে মুক্তা পারিবারিক ভাবে প্রায় ৯ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ব হন। তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর,শ্বশুরীর সাথে মুক্তা বেগম খারাপ আচরণ করতেন তাদের সাথে কথা বলতেন না কদিন পরপরই বাবার বাসায় চলে যেতেন।শ্বশুর বা শ্বশুরী আনতে গেলেই মুক্তার মা-বাবা তাদের সাথে খারাপ আচরণ ও হুমকী দিতেন। এরই মধ্যে ফেসবুকে শরীফ নামে একজনের সাথে মুক্তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রেমিকের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।ঘটনা জেনে শ্বশুর এবং স্বামী মানিক স্ত্রীকে সতর্ক করলেও থেমে থাকেনি তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ও মেলামেশা।

     

    এরই সূত্র ধরে গত ১ লা সেপ্টেম্বর প্রেমিক শরীফের হাত ধরে বাসা থেকে পালিয়ে যান মুক্তা।বাসা থেকে যাওয়ার সময় মুক্তা ৬০ হাজার টাকা ও ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যান বলে শশুরের অভিযোগ।মুক্তার শশুর ও মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন জানান,আমার ছেলের ঢাকা থেকে পাঠানো ৯ বছরের আয় তার সব নিয়ে প্রেমিকের সাথে চলে যায় মুক্তা। মুক্তা শরীফের সাথে সম্পর্কের জেরে ৩ মাসের অন্তঃস্বত্বা বলেও জানান আনোয়ার হোসেন।

     

    তিনি বলেন, আমি আমার ছেলের টাকা-পয়সা ও গহনা ফেরতসহ বিচার চাই। এ বিষয়ে জানতে মুক্তার মা নিরু বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, উক্ত বিষয়,বোরহানউদ্দিন থানা অফিসারস ইনচার্জ জানান অভিযোগ পেয়েছি, প্রকৃত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ