• সারাদেশ

    ভোলায় অবৈধ বেহুন্দি জালের তথ্য না দেয়ায় কোস্টগার্ডের বিরুদ্বে যুবক কে নির্যাতন করার অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১০:৪১:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    আহসান স্টাফ রিপোর্টার

     

     

    ভোলার তুলাতুলী ঘাটে রাসেল (২৮) নামের এক যুবককে ট্রলারে দেখতে পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্য সোলাইমান আহমেদ সহ নাম না জানা আরো কয়েকজন কোস্টগার্ডের সদস্য অবৈধ বেহুন্দি জালের কথা জিজ্ঞাসা করলে, রাসেল না বলতে পারায় রাসেলকে বেধড়ক মারদর করার অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা, তার পিতাঃ মোঃ সিরাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক দের জানান আমার ছেলে রাসেল ঢাকায় থাকে পেশায় গাড়ী চালক, গত কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসে, ঘটনার দিন ২৫ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায়,

     

    তার বন্ধুদের ট্রলারে করে নোয়াখালি এগিয়ে দিয়ে এসে ভোলা তুলাতুলি ঘাটে আসে। এই সময় হঠাৎ একটি স্পীডবোর্ড দিয়ে কোস্টগার্ডের ছয় সদস্য এসে রাসেলকে ট্রলারে বসে থাকতে দেখে তাকে অবৈধ বেহুন্দি জালের কথা বলে নদীর মাঝখানে নিয়ে যায়। পরে কোস্টগার্ডের ৬ সদস্য নদীতে অবৈধ বেহুন্দি জাল কোথায় কোথায় আছে রাসেলের কাছে জানতে চায়। রাসেল বেহুন্দি জালের বিষয়ে কিছু না বলতে পারায় সোলাইমান আহমেদ সহ কোস্টগার্ডের ৬ সদস্য তাকে মারধর নির্যাতন করেন,

     

    ভুক্তভোগী রাসেল দৌলতখান চরপাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরলামছিপাতা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃসিরাজের ছেলে।

     

    রাসেল ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে ২৫ নাম্বার বেডে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আছে।

     

    ভুক্তভোগী রাসেল জানায়, ঘটনার দিন সকাল ১০টায় বন্ধুদের নদী পথে নোয়াখালি পৌছে দেয়ার জন্য। আমার পরিচিত এক মাঝির ট্রলার নিয়ে আমার বন্ধুদের নোয়াখালী পৌছে দিয়ে তুলাতুলি ট্রলার ঘাটে ফিরে আসলে হটাৎ কোথায় থেকে কোস্টগার্ডের একটি স্পীডবোটে কোস্টগার্ডের ছয় জন সদস্য এসে আমাকে নদির মাজখানে নিয়ে যায়। পরে বেহুন্দি জাল নদীতে কোথায় কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলতে না পারায় আমাকে ধরি দিয়ে বেধে সবুজ প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

    মারধর করার এক পর্যায় আমি বমি করে দেই। বমি করার পর আমার মুখে পানি ঢেলে দেয়। পরে কোস্টগার্ডের ৬ সদস্য ৫ জন মাঝিকে ফোন দিয়ে নদীতে নিয়ে আসে। কোস্টগার্ডের ছয় সদস্য কোস্টগার্ড মাঝি ৫জন মাঝী সহ আমার ট্রলারে রেখে চলে যায়। কোস্টগার্ডের এক সদস্য আমাকে ফোন নাম্বার দিয়ে বলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে।

    ভুক্তভোগী রাসেল আরো বলে, পরে কোস্টগার্ডের মাঝি নরনবী মাঝি, রফিক মাঝি, তছির মাঝি, জাফর মাঝি, নাগর মাঝি ৫জন আমাকে নদীর মাঝ থেকে ঘাটে নিয়ে আসে। পরে আমি পরিবারকে খবর দিলে আমাকে আহত অবস্থায় দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করে। দৌলতখান হাসপাতালের করতর্বরত ডাক্তার তাকে ভোলা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য রেফার করে

    এদিকে অভিযুক্ত কোস্টগার্ডের সদস্য সোলাইমান আহমেদ সহ ৬ সদস্যের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি,

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ