• লাইফ স্টাইল

    এই শীতেই ভালোবাসার কথা জানান পছন্দের মানুষকে

      প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২৩ , ৬:৩৫:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    যেকোনো মানুষের জীবনেই সম্পর্কগুলো একটি আবেগী জায়গা দখল করে থাকে। তাই প্রিয়জন বা পছন্দের মানুষগুলোকে কখনোই জানানো হয়ে ওঠে না মনের অব্যক্ত কথা। আর এ ক্ষেত্রে তা যদি হয় ভালোবাসা বা জীবনসঙ্গীর ব্যাপারে, তখন মুখের ভাষা যেন পালিয়ে যেতে চায় অন্য কোনো পৃথিবীতে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রিয়জনকে মনের কথা জানাবেন, তাই নিয়ে আজকের এই বিশেষ আয়োজন।

     

    বাঙালিদের বিয়ের মরসুম মূলত শীতকালকেই ধরা হয়। তাই এই শীতেই যদি পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে চান তবে অবশ্যই তাকে নিজের পছন্দ বা ভালোবাসার কথা জানান। কারণ মুখে বলতে না পারার কারণে অনেক ভালোবাসাই শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা পায় না।

     

    তাই যারা সিঙ্গেল আছেন কিন্তু এখনো মনের মানুষকে সাহস করে বলে উঠতে পারেননি মনের না-বলা কথা, তারা আজকের বিশেষ টিপসগুলো ফলো করতে পারেন।

     

    ১. প্রিয়জনকে ভালোবাসার কথা জানানোর আগে নিজেকে ভালো করে জেনে নিন। এটি ভালোলাগা না ভালোবাসা তা বোঝার পরই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

     

    ২. মনোবিদদের ধারণায়, ভালোলাগা এবং ভালোবাসা সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন বিষয়। তবে ভালোলাগা থেকেই ভালোবাসার সম্পর্ক গভীর হয়। তাই প্রিয়জন ভালোলাগার না ভালোবাসার মানুষ, তা জানতে বুঝে নিতে পারেন একটু সতর্ক হলেই। প্রিয়জনের সাক্ষাতে যদি আপনার মনে ভালোলাগার অনুভূতি হয়, তবে তাকে ভালোলাগা হিসেবে ধরে নিতে পারেন। তবে তার অনুপস্থিতি আপনার মনকে উদাসীন করে তুললে এটি হবে ভালোবাসা। নিজেকে পরখ করার পালা শেষ হলেই সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারেন।

     

    ৩. প্রথমেই প্রিয়জনকে ভালোলাগার অনুভূতি জানাতে যাবেন না। কারণ, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই প্রিয়জনের অনুভূতিগুলো প্রথমে বুঝতে চেষ্টা করুন।

     

    ৪. চেষ্টা করুন প্রিয়জনের ভালো লাগা কিংবা মন্দ লাগার বিষয়গুলোর তথ্য সংগ্রহ করতে। প্রিয়জনের ভালো না লাগার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিন এবং তা করা থেকে বিরত থাকুন।

     

    ৫. নিজের ভালোবাসার মানুষটির প্রশংসা আপনাকে করতেই হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যত তার প্রশংসা করতে পারবেন, ঠিক ততটাই ভালোবাসা বাড়বে আপনাদের মধ্যে।

     

    ৬. প্রিয়জনের ভরসার ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারলে এ বিষয়টিই আপনাকে গ্রিন সিগনালের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে। তাই তার ভরসার পাত্র হয়ে উঠতে পারেন। শুরুটা করতে পারেন বন্ধুত্ব দিয়ে।

     

    ৭. নিজের মধ্যে প্রিয়জনের জন্য কেয়ারিং আর শেয়ারিং মানসিকতাগুলো আপনার ভালোবাসার পথে আপনাকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।

     

    ৮. প্রিয়জনের যেসব বিষয় অপছন্দ, তা যদি হঠাৎই করতে বন্ধ করে দেন, তাহলে তার চোখে আপনি খুব সহজেই প্রিয়জন হয়ে উঠবেন।

     

    ৯. মুখে যখন কোনো কিছু বলতে পারছেনই না, তখন এমন পরিস্থিতিতে মেসেঞ্জারকে কাজে লাগাতে পারেন। প্রিয়জনের সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময় দিতে পারেন লাভ রিঅ্যাকশনের ইমোজিগুলো।

     

    ১০. এসব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আপনি প্রিয়জনের ব্যাপারে সৎ ও একনিষ্ঠ না থাকেন। তাই সম্পর্কে সিরিয়াস হলে এখনই সে বিষয়ে সচেতন হন। নিজেকে যোগ্য বলে মনে হলে বেনামে তাকে পাঠাতে থাকুন রঙিন মোড়কে মোড়ানো ছোট ছোট গিফট বক্স। ব্যস, এক সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার প্রিয়জনের চোখ শুধু আপনাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে। অনুভূতি গাঢ় মনে হলে সাহস করে বলেই ফেলুন ‘ভালোবাসি’ কথাটি।