• আরো

    বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন শপের লিংক দেখিয়ে সাংবাদিককে ধোকা 

      প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৯:৩০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    আব্দুল জব্বার :

     

    বিশ্ববিখ্যাত অনলাইন শপের লিংক পেজ খুজে কোটিপতি বানানোর লভ দেখিয়ে ধোকা দিয়েছে একটি চক্র। আলোকিত বার্তা ৭১ এর স্টাফ রিপোর্টার কাশিনাথপুর কলেজিয়েট স্কুলের পরিচালক প্রধান কে. এম নাহিদুজ্জামান পরাগ কে এ প্রতারণার স্বীকার হোন।

    তিনি জানান

    বং লেখে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ১৮০০ টাকা ইনকাম করুন।

    বিষয়টা বোঝার জন্য তাদেরকে নক দেয়া হলে, তারা প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলে, তারপর অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, অ্যাকাউন্ট খোলার পর তারা বিভিন্ন টাকার কাজের অফার দিয়ে থাকে, যেমন ৫০০, ১০০০, ২০০০,১০০০০ এদের মধ্যে থেকে একটা চয়েস করতে বলে, এবং আপনি যে এমনটা চয়েস করবেন করবেন, সেই অ্যামাউন্ট এর উপর কাজ করলে, আপনি কিছু কমিশন পাবেন,

    আমি প্রথমে ২০০ টাকার কাজ করে, ৩৯৫ টাকা আয় করেছিলাম, এই পরিবার ৫০০ টাকার কাজ নিয়েছিলাম, যাতে ভেবেছিলাম আমার ৭৫০ টাকার মত হয়তো আয় হবে, কিন্তু পরে দেখি এ এক বিশাল মহা ফাঁদ, ৫০০ টাকার কাজ নেয়ার পর, আমাকে ২০০০ টাকার উপরে রিচার্জ করতে বলে, আমি বিষয়টা বুঝে উঠতে না পেরে রিচার্জ করি, রিচার্জ করার পর তারা আমাকে ৫০০০+ টাকা রিচার্জ করতে বলে, সেটাও করা হয়, এরপর তারা ১৫০০০+ টাকা রিচার্জ করতে বলে, সেটাও করা হয়, কিন্তু একের পর এক তাদের যে রিসার্চ করতে হবে, এই ধরনের কোন নিয়ম তার আগে থেকে সেই কাস্টমারকে জানায় না, আচ্ছা এরপর ৫৬০০০+ টাকা রিচার্জ করতে বলে, আমিতো অবাক। কারণ ৫০০ টাকার কাজ নিয়ে, ৫৬ হাজার টাকা নিয়ে গেলে, একটা ব্যক্তি তো সেই কাজটা করার সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে, এই ব্যাপারটি তারা আগেই কাস্টমার কে জানায় না, এরপর আরো বড় ফাদ, তারপর চলে গেল বললে এক লক্ষ টাকার উপরে রিচার্জ করতে হবে, রিচার্জ করা হলো, অলরেডি আমার জন্মানো সব টাকা শেষ, অর্থাৎ আপনি যত টাকাই রিসার্চ করবেন, আপনার ওই টাকাটা তাদের ভাষ্যমতে থেকে যাবে এবং ওই টাকার উপর আপনি একটা কমিশন পাবেন, মনে করেন আপনি ১ লাখ টাকা দিলেন, ১ লাখ টাকার উপর ৩০% কমিশন পাবেন যদি কাজ করেন, এগুলো বলে তারা কাজের কথা বলে।

    এভাবে যখন আমার দুই লক্ষ বাইশ হাজার টাকার বেশি দেওয়া হয়ে গেছে, তখন আমার টোটাল কমিশন এসেছে তিন লক্ষ ছাব্বিশ হাজার এর বেশি। আমি ভাবছি এখানেই শেষ। তাহলে ৫০০ টাকা থেকে, একটা এমপ্লয়িকে ২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা খরচ করানো হলো, এটা একটা কাস্টমার আগে থেকে জানে না, ৫০০ টাকা দিয়ে একজন রিকশাওয়ালাও শুরু করতে পারবে, একের পর এক তাদের যে টাকার স্টেপ গুলো সাজানো ওই স্টেপগুলো যদি আপনি পূরণ না করেন, তাহলে আগে যে টাকাগুলো দিছেন, ওই টাকাগুলো তারা ব্যাক দেবে না। আচ্ছা যখন আমার মূলধনসহ কমিশন তিন লক্ষ ছাব্বিশ হাজারের বেশি আসলো, তখন তারা বলল এখন আপনার টাকাটা তোলার জন্য ৮১ হাজার ৬৯১ টাকা দিতে হবে, এটাই আপনার কাজ শেষ। এত রাতে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন, আর ৮১৬৯১ টাকা দিলে, আমার মূলধনসহ কমিশন আসে চার লক্ষ আট হাজার টাকার উপরে। আমি ৮১৬৯১ টাকা দেয়ার পর, আমার যে কমিশন পাওয়ার কথা যে টাকাটা পাওয়ার কথা সেটা তারা আমাকে তখনও দিচ্ছে না, তারা বলতেছে এখন আপনাকে এক লক্ষ টাকার উপর সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে, তারা বলতে চাই করলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আমি বললাম সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় সেটা আমিও জানি, কিন্তু ৫০০ টাকা থেকে একটা মানুষকে তিন লক্ষ টাকাতে নিয়ে যাওয়া এটা যদি একজন কাস্টমার আগে থেকে জানি তাহলে কয়জন ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাবে! ম্যাক্সিমামি যাবেনা। তখন আমি বললাম আমার তো এখন 4 লক্ষ 8 হাজার টাকার উপরে টাকা এসেছে সেখান থেকে এক লক্ষ টাকা আপনি সরকারি ট্যাক্স কেটে রেখে বাকি টাকা আমাকে দেন। উনারা বলতেছে এটা সম্ভব না। যদি ১ লক্ষ টাকা

    ট্যাক্স দেন তাহলে আপনার টোটাল ইনকাম আসবে 5 লক্ষ টাকার উপরে, সেই এমনটাও আমাকে দেখালো। কিন্তু ট্যাক্সটা পে না করলে তারা টাকাটা দেবে না। করতেছো যখন আমার তিন লক্ষ ছাব্বিশ হাজার টাকা আয় হয়, তখনই তারা বলেছিল এরপরে আর কোন স্টেপ নেই। তাহলে তারা এটা বলার পর, কেন আমার কাছ থেকে আবার ৮১৬৯১ টাকা নিলো, নেয়ার পর আবার ট্যাক্সের জন্য এক লক্ষ টাকা+ দাবি করতেছে। আসলে তারা একের পর এক টাকার স্টেপ বাড়াচ্ছে। আপনি এক লক্ষ টাকা দিয়ে যদি আপনার দেড় লক্ষ টাকা ইনকাম হয়

    আপনি ওই ১.৫ লক্ষ টাকা তুলতে পারবেন না। এখন তারা বলতেছে এক লক্ষ টাকা প্লাস+ ট্যাক্স পে না করলে, আমি টাকা উত্তোলন করতে পারবো না।

    কিন্তু ৫০০ টাকা থেকে চার লক্ষ আট হাজার+ টাকায় আমাকে তারা নিয়ে গিয়েছে, এই যে ৫০০ টাকার পর একজন কাস্টমারকে, ৫ হাজার, ২৬ হাজার, ৫৬ হাজার, এক লক্ষ+ টাকার স্টেপগুলোতে নিয়ে গেল, এগুলো একটা কাস্টমারকে তারা আগে কেন জানল না যা আমাদের স্টেপগুলো এমন, তাহলে তুই কাস্টমার বুঝবে, যে এটা করা তার পক্ষে সম্ভব কিনা। কিন্তু তারা সেটা কাস্টমারদেরকে বুঝতে না দিয়ে একটা টাকার ফাঁদে ফেলে দেয়। এবং তারা প্রত্যেকটা টাকা নেয়ার সময় একটা বিকাশ নাম্বার দেয়, সেন্ড মানি করতে হয়। তারা টাকাটা পেলে, জানায় যে আমরা টাকাটা পেয়েছি।তারপর পরবর্তী কাজ দেয়। কাজগুলো তেমন কিছুই না। ক্লাস থ্রি ফোর এর বাচ্চারাও সেটা পারবে।

    কিভাবে তারা শত শত মানুষকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে। আমি অবচেতন মনে হুট করে ঢুকে পড়েছিলাম একাউন্ট খুলে, কিন্তু আর বের হতে পারিনি, তিন লাখ টাকার উপরে, তারা নিয়ে নিয়েছে।

    এই চক্রকে ধরে দেশের মানুষের উপকারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার বিশ্বাস অনুরোধ থাকলো। আমার সাথে প্রতারণা করে যে টাকাটা তারা নিয়েছে, সেই টাকাটা আমি ব্যাক চাই, কারণ টাকাটা তাদের একাউন্টেই আছে,তারা তো বিকাশ একাউন্টে নিয়েছে। এবং তাদের এই ব্যবসা বন্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ