প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২৩ , ১:৪৪:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
বেড়া-সাথিঁয়া (পাবনা) :
পাবনার বেড়া উপজেলার সাবেক খাদ্যনিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (বর্তমানে পাবনার ফরিদপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক) খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৬ জন ডিলারের নামে ভুয়া ৭২টি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৭০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জেলা খাদ্য অফিসের তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা মেলার পর খাদ্য অধিদফতর থেকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ ক্ষমতসম্পন্ন অডিট কমিটি গঠন করা হয়। খুব শিগগিরই এ কমিটি বেড়া খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে অডিটে আসছেন।
বর্তমান খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওছারুল আলম জানান, টাকা আত্মসাতের ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানান।
জানা গেছে, মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার কৈটোলা গ্রামের খাদ্যবান্ধব ডিলার কেরামত আলী, বজলুল করিম, ফকরুল, মাসুমদিয়ার ইকবালসহ ১৬ ডিলারের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৭০ টাকা ট্রেজারি চালানে সোনালী ব্যাংকে জমা না করিয়ে অফিসে ভুয়া ট্রেজারি চালান সংরক্ষণ করে আত্মসাৎ করে।
এদিকে বেড়া উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক পদে যোগদান করেন কাওছারুল আলম নামে এক কর্মকর্তা। তিনি অফিসের চালান চেক করতে গিয়ে একটি চালান ভুয়া মনে হলে সোনালী ব্যাংকে ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরের ট্রেজারি চালানের তথ্য যাচাই করতে পাঠান। যাচাইয়ের পর অফিসে সংরক্ষিত আরো ৭১টি চালান ভুয়া প্রমাণিত হয়।
বর্তমান খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওছারুল আলম জানান, টাকা আত্মসাতের ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানান। এখন ঢাকা থেকে নিরীক্ষাদল আসার পর সব কিছু বোঝা যাবে।
এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সবুর আলী জানান বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় উপজেলা খাদ্য কমিটির মিটিং রেজুলেশন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। তিনি টাকা আত্মসাৎ ঘটনা সত্য বলে প্রাথমিক প্রমান পেয়েছে বলে যানান। এ ঘটনায় ডিসি ফুড মো. তানভীর রহমানের নেতৃত্বে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল হক ও একজন টেকনিক্যাল ফুড ইনস্পেকটর তদন্ত করতে বেড়ায় আসেন।
এ ব্যাপারে ডিসি ফুড মো. তানভীর রহমান জানান টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।এখন খাদ্য অধিদপ্তর এ বিষয় নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর অডিট কমিটি বেড়া খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে পাঠাচ্ছে তাদের নিরিক্ষার পর টাকা আত্মসাৎকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বেড়ার সাবেক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে ম্যাসেজ পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।