প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:৩৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুল জব্বার বেড়া-সাথিঁয়া:
গায়ে জীর্ণ পোশাক হাতে ছেড়া ব্যাগে কাচি, নিরানি। অপেক্ষা নিজেকে বিক্রি করা।তবে দাস কিংবা পন্য হিসেবে নয় বেচাকেনা হয় শ্রমিক হিসেবে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগেও ক্ষুধা দারিদ্র্যতার নির্মম আঘাতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো আজও বিক্রি করেন শ্রমের হাটে।
এমন চিত্র দেখা মেলে পাবনার কাশিনাথপুর হাটে।এসব হাটে মাঠে কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসে এ হাটে। সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার বসে এ হাট।
পরিবারের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিতে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক আসে এ হাটে। রাজশাহীর চাপাই থেকে আসা শ্রমিক আব্দুল মতিন এসেছেন হাটে তার শ্রম বিক্রি করতে। দিন হিসেবে তার মূল্য হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। এদিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে আসা মুজিব বলেন আমরা কাজে সন্ধানে প্রতিনিয়ত এ হাটে আসি। আমরা হাটে নিজের শ্রম বিক্রির জন্য আসি। শ্রম বিক্রি করে যা পাই তাই দিয়ে চলে সংসার । তবে হাটে আসলেই সব শ্রমিক বিক্রি হয়না, কিছু অবিক্রীত থেকে যায়। শ্রমিকে কাজ পেলে তাদের মুখে ফোটে হাসি,আর কাজ না পেলে মলিন মুখে অপেক্ষা করেন পরবর্তী হাটের জন্য।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মতিন জানান – এই মৌসুমে পেয়াজ তোলা মরিচ পেয়াজের ক্ষেতে আগাছা নিরানোর জন্য শ্রমিকের চাহিদা অনেক।