প্রতিনিধি ২৮ জুন ২০২৩ , ৭:২০:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালুকদার রাসেল নিজস্ব প্রতিবেদক:
পাবনার ঈশ্বরদীতে ওসির নির্দেশে প্লাস্টিক কারখানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এসআই এর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ২৭/০৬/২০২৩ তারিখ আনুমানিক বিকাল ৩:৪৫ মিনিটে দাশুড়িয়া নতুন ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন রতন প্লাস্টিক কারখানায় ঈশ্বরদী থানার এস আই তৌহিদ সঙ্গীও ফোর্স সহ কারখানায় গিয়ে বৈধতা যাচাই না করেই কারখানার মালিক কে খোঁজে। সে সময় কারখানার মালিক উপস্থিত না থাকায় এসআই তৌহিদ শ্রমিকদের নাম্বার দিয়ে কারখানার সত্তাধিকারী হামিদুল ইসলাম রতন কে মুঠোফোনে টাকা দাবি করে এবং ওসির নির্দেশ বলে জানান।
এ বিষয়ে রতন প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিকরা জানান,মঙ্গলবার বিকেলে ঈশ্বরদী থানার কয়েকজন পুলিশ কারখানায় এসেছিল। এসে মহাজনকে খুঁজে তখন আমার জানাই তিনি কারখানায় নেই রাজশাহীতে গেছে। তখন আমাদেরকে তৌহিদ দারোগা নামে একজন মহাজনকে ফোন দিতে বলে এবং আমাদের ফোনেই মহাজনেরর সাথে কথা বলে, ও ফোনে টাকা চাইতে শুনি। কথা শেষে আমাদের কাছে একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যায় এবং বলে মহাজন আসলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্লাস্টিক কারখানার স্বত্বাধিকারী রতন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমার ফ্যাক্টরিতে এসআই তৌহিদ ফোর্স সহ এসেছিল। এসে আমাকে খুঁজে তখন আমার কারখানার শ্রমিক আমাকে ফোন দিয়ে বলে এসআই তৌহিদ নামে একজন পুলিশ কারখানায় এসেছে আপনার সাথে কথা বলতে চায়। তখন আমি এসআই তৌহিদের সাথে ফোনে কথা বলি। তখন আমাকে ফোনে জানায় থানা থেকে ওসি স্যার পাঠিয়েছে টাকা দেওয়ার জন্য। তখন আমি বলি কিসের টাকা ওসি সাহেবের সাথে তো আমার টাকার কোন লেনদেন নেই। তখন আমি বলি ঠিক আছে আমি এখন রাজশাহী আছি আমি এসে জানবো কিসের টাকা। এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ওসি কে জানিয়েছেন কি না বা লিখিত কোন অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে রতন বলেন, আমি কোন অভিযোগ এখনো করিনি, তবে এসপি মহোদয়কে বিষয়টি জানিয়েছি।
অভিযুক্ত ঈশ্বরদী থানার এসআই তৌহিদের কাছে প্লাস্টিক কারখানার চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কারখানায় যাইনি। অথচ সিসিটিভি ফুটেজে উক্ত সময় প্লাস্টিক কারখানায় তাকে দেখা যায়।
ওসির নির্দেশে এসআই এর চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, আমি কাউকে চাঁদা আনতে পাঠাইনি। এমন ঘটনা অভিযোগ আপনার কাছে থেকেই শুনলাম। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় এই বিষয়ে ঘটনা স্থলের সিসি ফুটেজ এবং সকল প্রমাণ আছে এবং আপনার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে যে, আপনি প্রত্যেক এসআইকে ঈদের আগে ৩০ হাজার টাকা করে আপনাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আপনার নির্দেশেই এসআই তৌহিদ কারখানায় চাঁদা নিতে গিয়েছিল। তখন ওসি অরবিন্দ সরকার , এসব অভিযোগের জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ওসির নির্দেশে টাকা দাবি করার কথা বলায় এসআই তৌহিদকে তাৎক্ষণিক ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওসির নির্দেশে ঈশ্বরদী থানার প্রত্যেকটি এসআইকে ঈদের আগে ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হবে এমন অভিযোগ ও আছে। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওসির নির্দেশে কেন টাকা চাইবে, এমন কথা বলার কারণেই তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।