প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:৫৪:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
অপ্রত্যাশিত অসংখ্য আশা জাগে মনে
আশা জাগে জীবনের বাঁকে বাঁকে,
বেজে ওঠে হৃদয়ের মাঝে সুর
দুলে দুলে চলে রঙিন স্বপ্নের ভেলা।
যে আশায় নেই কোনো ভরসা
কল্পনায় তারি মাঝে বাঁধি বাসা,
স্বর্গবাসী ও যেন পায় না হোথা সুখ
কেবল-ই অন্তরে যাগে অন্তহীন হতাশা।
মনের কাছে বার বার হই পরাজিত
স্কটল্যান্ড ছেড়ে আসা পরাজিত যোদ্ধা
উদ্যমহীন সৈনিক রবার্ট ব্রুসের মত,
তবুও হৃদয়ের আঙ্গিনায় বুদবুদ করে আশা
কারাবন্দী অসহায় সম্রাট শাজাহানের মত।
তাজমহলের পাথর পারেনা দিতে সুখ
মমতাজের প্রেম যেন নির্বাক হোথা,
জ্বলন্ত প্রদীপের তলে যেভাবে কেরোসিন জলে
সে দহন জ্বালা শেষ হবে কোথা।
অপ্রত্যাশিত অসংখ্য আশা জাগে মনে
পেরিয়ে হতাশায় বিক্ষুব্ধ নদী,
সুদীর্ঘ ফেনিল পথ বেয়ে সে
কোথাও এতটুকু বিশ্রাম পায় যদি।
বুকের মাঝে সুখেরাও পায় না হেথা সুখ
অন্তরে পড়ে থাকে অনন্ত নিরাশা,
তবুও কেন হৃদয়ের তারে
এ জগতে বাঁধি তারে,
এভাবে কী কভূ পূরণ হবে কারো আশা।
ভাবনাগুলো মোর তেমনি উড়ে চলে
ধরার মাঝে তারে নাহি পাই ধরা,
নিঃশব্দ অভিযান নাহি কোন অভিমান
কী জানি কোথায় যাবার এত বেশি তাড়া।
ক্লান্তিহীন রাত্রির তারারা জাগে অবিরাম
নিঃশব্দ আকাশের গায়,
ভাসমান মেঘের ফাঁকে ফাঁকে থাকে
ঘুমন্ত আশা নীল সাগরের স্নিগ্ধ মোহনায়।
যে জীবন এখনই হবে শেষ
সেও ভাবে বুঝি বাঁচবো বহুদিন,
যে আশা কখনও পূরণ হয়নি জগতে
তারও আছে এই পৃথিবীর কাছে ঋণ।
যে পেয়েছে আশার চেয়ে বড় বাসা
সেও ভাবে স্বপ্ন আমি পারিনি এখনও পুরাতে,
আর কত কি যে পেলে হবে সুখী
তাই সে চায় এ জীবন না ফুরাতে।
অন্নহীন পথের ভিখারীরা ভাবে
অন্য ভিক্ষুকেরা তাদের চেয়ে ঢের সুখী,
অন্য ভিক্ষুকরাও অন্যত্র ভাবে
আমরাই হলাম জগতের বড় দুঃখী।
অগণিত মানুষের বেদনা ভার
কভু এ পৃথিবী পারেনি বহিতে,
আশাবাদী যত জাতি ছিল জগতে
তারাও পারেনি হেথায় চিরদিন রহিতে।
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন বিস্তর বিস্তর লেখা
কল্পনার মাঝে অকল্পনীয় আশার কথা জুড়ায়ে,
শেষ লেখাতেও তবু শেষ হলো না আর
হায়! আশা গেল তার ফুরায়ে।
মো: আব্দুর রাজ্জাক
সহকারী শিক্ষক(ইংরেজি)
কাশিনাথপুর বিজ্ঞান স্কুল