• সারাদেশ

    সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

      প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২৩ , ৪:০১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্ত্রী তানিয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আজিজুল ভূইঁয়া (৩০) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার (২৩ অক্টোবর’) বেলা ১২ টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোঃ আবুল বাশার মিঞা এই কারাদণ্ড প্রদান করেন। দন্ড প্রাপ্ত আজিজুল ভুইঁয়া উপজেলার কয়ড়া হরিশপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে।

    অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবুন্নেছা (জেবা রহমান) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৩০৪ ধারা (প্রথম অংশ) অধিন দন্ড যোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে আসামী আজিজুল ভুইঁয়া কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত’।

    মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম ভদ্রলোক গ্রামের তানিয়া খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী আজিজুল ভুইঁয়ার। বিয়ের পর আজিজুল ভুইঁয়া অন্য এক নারীর সঙ্গে পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন, এতে স্ত্রী তানিয়া বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয় তার পর থেকে তানিয়াকে মারপিট করতো আজিজুল।

    ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি দুপুরে আজিজুল ভুইঁয়া তার স্ত্রী তানিয়াকে মারপিট করে একপর্যায়ে তানিয়া মৃত্যু হয় এ ঘটনায় তানিয়ার মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে সাত জনের নামে উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন

    মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজিজুল ভুইঁয়া কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    সোনারগাঁওে ১০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৩ উপলক্ষে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা।

    আমতলীতে দশটি পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটালো বিদ্যানন্দন ফাউন্ডেশন।

    কাশীনাথপুরে পাঠাগার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    শহীদ আব্দুস সালামের ৩১ তম স্মরণসভা ও গণজমায়েত