• সারাদেশ

    নওগাঁ সদর-৫ আসনের নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় করলেন শিষাণ

      প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:০৮:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    নিজস্ব প্রতিনিধি:

    নওগাঁ সদর-৫ আসনের নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫ টায় শহরের নতুন রেজিষ্ট্রি অফিস ভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। দেড় যুগ ধরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ এবার ওই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। নমিনেশন তুলতে যাওয়ার আগে পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে শিষাণ এই মতবিনিময়ের আয়োজন করে।

    পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আলম এবং মামুনুর রশিদ এর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও শাকিল আহমেদ বাদল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামেদ আলী, বর্ষাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, তিলকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝুলন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রবীর দাস লাদু, ৯টি ওয়ার্ড ও ১২ টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। এছাড়া জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বিপদে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দু:সময়ে এই শিষাণ ভাই দলীয় নেতা-কর্মীদেরসহ সাধারণ মানুষের পাশে সর্বদা থেকেছেন। আর শেখ হাসিনা বলেছেন যারা দুঃসময়ে আমার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, সহযোগীতা করেছেন আমি তাকে নমিনেশন দিবো। সেদিক থেকে শিষাণ ভাই নৌকার মনোনয়ন পাবে, আমরা তা বিশ্বাস করি।

    আমরা এই ৫ বছরে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
    প্রয়োজনে আমরা পায়ে হেটে গিয়ে শিষাণের যোগ্যতা দিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে আসবো। এই পৌরসভার রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছে শিষাণ। শিষাণ ভাই যেমন নৌকা প্রত্যাশী আমরাও তেমন প্রত্যাশী শিষাণ ভাই নৌকা পাবেন।

    জলিল ভাইয়ের সময় কেউ মনোনয়ন চাননি। তার ছেলের সময় একাধিক প্রার্থী, কিন্তু কেন? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা শিষাণ ভাইকে বিজয় না করে ঘরে ফিরবো না। আমরা আগে যেমন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি, শিষাণ ভাইকেও ঠিক তেমন ভাবে জয়ী করবো।

    পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মনোনয়ন প্রত্যাশী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ বলেন, ১৮ বছর ধরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমাকে বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে আমার কাঙ্খিত চাওয়া থেকে। জলিল ভাই আমাকে ভালোবাসতেন, কিন্তু এখন যে সব নেতা হয়েছে তারা শুধু আমাকে নিয়ে খেলা করেছে। আমি কিন্তু সেই জায়গায় আছি, আর যারা আমাকে নিয়ে খেলা করেছে তাদের কি অবস্থা।

    তিনি বলেন, আপনারা সকলেই নিজেকে শিষাণ মনে করবেন। যেই নেতা আমাদের মতো লোককে তাচ্ছিল্য করে, তাহলে সাধারণ কর্মীরা গেলে কি অবস্থা। আপনারা আমার কাছে আসবেন, আমার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা নেই, আমার চাহিদা আপনাদের নিয়ে। আপনারা শুধু আমার জন্য দোয়া করবেন, নেত্রী যেন আমাকে নমিনেশন দেন। আমি শুধু একটি বার নির্বাচন করবো। যোগ্যতা দিয়ে জিততে না পারলে আর কোনোদিন মনোনয়ন চাইবো না।
    আর আপনারা আমার জন্য ভোট করবেন, সার্বিক নিরাপত্তা আমি দিবো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    যথাযোগ্য মর্যাদায় নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

    কালীগঞ্জে ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত মো: ইব্রাহিম খন্দকার

    পাবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগে সেমিনার

    সবুজ মেম্বারের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ঢালচর সহ মেঘনা পাড়ের জেলেরা

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন পাবনার কৃতিসন্তান ড. খন্দকার বজলুল হক