• সারাদেশ

    পাবিপ্রবিতে ‘ র‍্যাগ ডে’ বন্ধের নির্দেশ!

      প্রতিনিধি ১০ আগস্ট ২০২২ , ৮:০৬:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনে ‘র‌্যাগ ডে’ আর উদযাপিত হবে না পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(পাবিপ্রবি)। এই দিনটি উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    বুধবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    রেজিস্ট্রার জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের আলোকে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগ ডে উদযাপন বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-৪৫১৫/২০২২ এর আদেশে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র‌্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে যে সব ধরনের অশ্লীলতা, নগ্নতা, ডিজে পার্টি, অবৈধ, নিষ্ঠুর কার্যকলাপ ও গুন্ডামি হয় তা অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে এ সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হলো।

    সাধারণত কোনো ব্যাচের শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার পর র‌্যাগ ডে উদযাপন করা হয়। সাধারণত এটি স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর শেষে হয়ে থাকে। এটিকে অনেকে শিক্ষা সমাপনী উৎসবও বলেন।

    প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগ ডে উদযাপন নিয়ে সারা দেশে সমালোচনা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও র‌্যাগ ডে উদযাপন দিন দিন অশ্লীলতায় রূপ নিচ্ছে। র‌্যাগ ডে উদযাপন করার মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রজীবনের শেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখার অনুষ্ঠান। সেটা দিন দিন অশ্লীলতার দিকে ধাবিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উচ্চ আদালত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে অনেকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলে বাহবা দিচ্ছেন। আবার অনেকেই র‌্যাগ ডে উদযাপন বন্ধ হওয়ায় বিরূপ মনোভাব পোষণ করছেন।

     

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবনা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন

    কাশিনাথপুরে শ্রম বিক্রির হাট

    লালপুরে বৃদ্ধা রেজিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু আটক ছেলে 

    আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে-খন্দকার আজিজুল হক আরজু

    উলিপুরে আইন সহয়তা কেন্দ্র (আসক) এর কমিটি ঘোষণা 

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে