• সারাদেশ

    পূবাইলে অটো লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১ শিক্ষার্থীসহ আহত ৫

      প্রতিনিধি ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১০:০১:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

     

    মোঃ মুক্তাদির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:

     

    গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে অটোরিকশা লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত অপর দুই শিক্ষার্থীসহ গুরুতর আহত হয়েছেন লেগুনা ও অটোরিকশা চালক।

     

    বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে নগরের ৪১নং ওয়ার্ডের বসুগাঁও এলাকার টঙ্গী- কালীগঞ্জ মহাসড়কে এই দূর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

     

    নিহত ও গুরুতর আহত ৩ শিক্ষার্থী পূবাইল থানার ৪২ নং ওয়ার্ডের নারায়ণকুল জাপান ইন্টারন্যাশনাল ড্রিম স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র। ৩ জনই এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী।

    নিহত মেহরাব(১৭) গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার পিপলিয়া গ্রামের মহিবুল্লার ছেলে।আহত সহপাঠি আমিনুল ইসলাম (১৭) কালীগঞ্জ থানার পিপলিয়া গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে, ঋত্বিক সাহা(১৯) পূবাইল ৪১ ওয়ার্ডের ছিকুলিয়া এলাকার বিজয় সাহার ছেলে। আহত লেগুনা চালক হাফিজুল নরসিংদী জেলার পলাশ থানার মতিরচর গ্রামের আসলামের ছেলে, অপর আহত অটো চালকের পরিচয় মেলেনি।

     

    ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, স্কুল শিক্ষার্থীদের বহন করা অটোরিকশাটি টঙ্গী- কালীগঞ্জ মহাসড়কে উঠলেই টঙ্গীগামী দ্রুত গতির লেগুনাটি আটোটিকে মুখোমুখি আঘাত করে। ফলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন চালকসহ ৫ জন। দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় করমতলা খৃষ্টান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অপর শিক্ষার্থী মেহরাবকে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মেহরাবকে মৃত ঘোষণা করেন।

     

    পূবাইল থানার অফিসার ইন চার্জ কামরুজ্জামান জানান অটোরিকশা ও লেগুনাটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগ পাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

    রূপগঞ্জে শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মত বিনিময় সভা

    রামগড়ে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজে মুসল্লিদের বিশেষ দোয়া

    সুজানগরে সিঙ্গাপুর প্রবাসীকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি!

    কাশিনাথপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নিহত -১

    ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতিপ্রেস রিলিজঃ সাথিয়ার আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন। গত ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম রাজা প্রাং (৫০), পিতা-মৃত সিরাজ প্রাং,সাং-শ্রীধরকুড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা তার পূর্ব পরিচিত মোঃ অনিক হোসেন (১৮) ও হৃদয় হোসেনর (১৯) সাথে প্রতিবেশি জয়নালের (২৫) সিএনজি করে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে বরাট, কাশিনাথপুরের দিকে যায়। যথাসময়ে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে না ফেরায় রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা রাজার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলে যে, তার কাছে ভিকটিম রাজা মোবাইল ফোনটি রেখে কোথায় যেন চলে গেছে। ঐ দিন রাত্রিতে ভিকটিম রাজা প্রাং বাড়ীতে ফেরত না আসলে পরিবারের লোকজন রাজা প্রাং-কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করিতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গত ইং ২০/০৭/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের কচুরি পানার মধ্যে ভিকটিম রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। বিষয়টি হত্যাকান্ড হিসেবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হওয়ায় ভিকটিম রাজার স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন যার মামলা নং-২২, তাং-২১/০৭/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎকালীন পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম স্যারের নির্দেশনায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১। সিএনজি চালক জয়নাল (২৫) ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২০) এবং ৩। পিয়াস সরকার (২৩) দের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামী গণ এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করলে তাদের অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে পাবনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুনসী স্যারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ মাসুদ আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), জনাব কল্লোল কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (বেড়া সার্কেল), জনাব আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমতিয়াজ এর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঢাকা,গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ এর শাহজাদপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ১। মোঃ মামুন খান (২৩), পিতা-মোঃ দুলাল খান এবং ২। মোঃ আশিক ফকির (২৫), পিতা-মোঃ আনিছ ফকির , উভয় সাং-সোনাকুড়া বরাট,থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামী মোঃ মামুন খান (২৩) এর প্রদত্ত জবানবন্দিতে জানা যায় যে, ভিকটিম রাজা প্রাং মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে আসামী হৃদয় এবং অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল। অপর আসামী মামুন এবং জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটা মামলা হয়। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামীদের ধারণা। আর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কৌশলে ভিকটিম রাজা প্রাং-কে মোঃ জয়নাল এর সিএনজি যোগে মোঃ হৃদয় ও মোঃ অনিক কে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর মাদকদ্রব্য গঁাজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী ক্যানেলের ধারে পাটক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত্রি অনুমান ১০.০০ ঘটিকা হতে ১১.০০ ঘটিকার মধ্যে আসামী মোঃ রনির নেতৃত্বে মোঃ হৃদয়, মোঃ জয়নাল, মোঃ অনিক, মোঃ জুয়েল, মোঃ মামুন, মোঃ আশিক, এনামুল হক ও মোঃ সোহেলগন মিলে ভিকটিম রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী ক্যানেল-এ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামী মোঃ জয়নাল এর নিকট হতে ভিকটিম রাজা প্রাং এর ব্যাবহৃত মোবাইল ফোন ও সিএনজি গাড়ী উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা আছে

    কালীগঞ্জ পৌর বঙ্গবন্ধু জাতীয় শিশু ও কিশোর মঞ্চ পূনাঙ্গ কমিটি গঠন

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ