প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ , ২:৫৭:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মুক্তাদির হোসন স্টাফ রিপোটারঃ
কালীগঞ্জ পৌরসভার মুনশুরপুর মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার একটি কক্ষ থেকে আবু সুফিয়ান শান্ত (১১) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত করেছে পুলিশ। তবে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের লাশ দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনা নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবু সুফিয়ান শান্ত খলাপাড়া এলাকার হান্নান মিয়ার ছেলে। সে মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় মক্তব বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার খলাপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে মো. আবু সুফিয়ান শান্ত (১১) কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার মক্তব বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। বৃহস্পতিবার এশার নামাজের আযানের পর শিক্ষার্থীরা নামাজে যেতে তাদের কক্ষ থেকে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়। নামাজ শেষে ফিরে এসে অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। পরে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শান্ত ঝুঁলে রয়েছে। ওই কক্ষে থাকা লোহার এঙ্গেলের (আড়ার) সঙ্গে গলায় লাইলনের রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুঁলে ছিল শান্ত। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা বলেন, মাদ্রাসার লোহার যে এঙ্গেলের সঙ্গে গলায় ফাঁস হয়েছে তা শান্তর একার পক্ষে লাগানো প্রায় অসম্ভব। এছাড়াও নিহতের পায়ের চতুর্দিকে কোন চেয়ার বা টেবিল নেই। তাহলে সে কি করে উঁচুতে উঠে গলায় ফাঁস লাগাতে পারে?
মদিনাতুল মনোয়ারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুপার মাওলানা আবু হানিফের মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল হক বলেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ লেখা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত শেষে লাশ না পৌছায় জানাযা ও দাফনের সময় নিশ্চিত করা যায়নি।