প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২৩ , ৭:৪৯:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ মুক্তাদির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার:
সেনাসমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় (২০০৭ সালের ১৬ জুলাই) গ্রেফতার হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা। গ্রেফতারের পর প্রথমে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে তাকে আটক রাখা হয়।
দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এর পরই চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে।
আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেওয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
এরপর ২০০৮ সালের০৬ই নভেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয় তাকে।
একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে। ২০০৯ সালের ০৬ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে টানা তিনবারসহ চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
সারাদেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে, এবং শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের জন্য বিশেষ দোয়া কামনা করে উনার পরিবার এর মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।